আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পরীক্ষা করে বুধবার এ কথা জানান তারা।
সেতুমন্ত্রীর চিকিৎসার হালনাগাদ বিষয়াদি বুধবার দুপুরে দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিফ করেন কাদেরের চিকিৎসার জন্য গঠিত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. ফিলিপ কোহ। এ সময় বোর্ডের অন্য সদস্যরা তার সাথে ছিলেন।
বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পরে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ডা. আবু নাসার রিজভী।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর কিডনির অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। হার্টের অবস্থাও ভালো।’
‘সংক্রমণের যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো অনেকটা কমে গেছে। ব্লাড প্রেশারও এখন ভালো,’ জানান তিনি।
রিজভী আরও বলেন, ‘আগামী দুই-একদিনের মধ্যে মন্ত্রীর শরীরে যে কৃত্রিম ডিভাইসগুলো লাগানো রয়েছে, সেগুলো খুলে ফেলার কথা ভাবছেন চিকিৎসকরা।’
এর আগে বুধবার সকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের টেলিফোনে ইউএনবিকে জানান, মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো।
এর আগে মাউন্ট এলিজাবেথের চিকিৎসকরা কাদেরের হার্টের বাইপাস সার্জারির কথা ভাবছেন বলে জানান এক বাংলাদেশি চিকিৎসক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বর্তমানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিওলোজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফিলিপের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে সোমবার বিকালে হৃদরোগে আক্রান্ত ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।
গত রবিবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করার পর তার করোনারি ধমনীতে তিনটি ব্লক পান চিকিৎসকরা।