তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আন্তরিকতায় বিমানবাহিনীর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি উড়াল দেয়।
এসময় বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কামরানের সাথে তার ছোট ভাই এনাম আহমদ, ছেলে আরমান আহমদ শিপলু ও শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক রয়েছেন।
এর আগে সকালে কামরানের পরিবারের পক্ষ থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির বিষয়টি ফোনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে জানানো হয়। তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করেন। এরপর কামরানের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এরই প্রেক্ষিতে কামরানের জন্য বিকাল সোয়া ৬টার দিকে বিমানবাহিনীর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ওসমানী বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে। এরপর সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে উড়াল দেয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়ার আগে কামরান নগরবাসীসহ সবার কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, ‘তার শরীরে রক্ত চলাচল একটু কমে গেছে, অক্সিজেনের পরিমাণও বেশি লাগছে। তাই তাকে ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপুল বলেন, ‘সকালে আব্বার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়। বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করলে প্রধানমন্ত্রী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি করার নির্দেশনা দেন।’
কামরানের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী আসমা কামরানও। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
এর আগে গত শুক্রবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কামরানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিন রাত থেকে প্রথমে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হলেও শনিবার সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।