বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক কে এম সামছুল আলম এ মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে জামিন চেয়ে গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ২৪ অক্টোবর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এ মামলায় কেন তাকে জামিন দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করে আদালত।
এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে বুধবার হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করে রায় দেয়।
খালেদার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো.বশির উল্লাহ।
এদিকে রায়ের পর বশির উল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন জানাবো।’
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ ২০ দলের স্থানীয় ৩২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়।