আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এর আগে ২০ জানুয়ারি খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করেন।
ওই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচার চলাকালে আমরা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছি। এ মামলায় নিম্ন আদালতে চারবার জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। জামিন শুনানি করতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অহেতুক বিলম্ব করা হচ্ছে।’
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবর গত ১৬ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন ও বিএনপি প্রধানের জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
চারদলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। এতে আগুনে পুড়ে মারা যান আট যাত্রী। আহত হন আরও ২৭ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
দুটি মামলায় দুই বছর এক মাস তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসমি করা হয়েছে। উভয় মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। তবে তিনি বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাবন্দী আছেন।