বুধবার সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘এসব মিথ্যা প্রচারণা নিঃসন্দেহে শাস্তিমূলক অপরাধ।’
হুঁশিয়ার করে দিয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের সবার প্রতিটি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, হতে হবে পর ধর্ম সহিষ্ণু, কেউ কারও ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত বা কটাক্ষ করে পোস্ট দেয়া প্রত্যাশিত নয়।’
উস্কানিমূলক পোস্টকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না, উস্কানিমূলক কিছু নজরে এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে দিতে হবে।’
সরকার মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা এখনও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দোসরদের বিশ্বস্ত আশ্রয়, তাদের মুখে এ কথা মানায় না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন আর চেতনাকে পদে পদে ভুলুন্ঠিত করাই বিএনপির ইতিহাস এবং রাজনৈতিক সাধনা। যা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তা শুরু করে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলো বিএনপি, তাই তাদের মুখে স্বাধীনতার সুরক্ষার কথা মানায় না।’
দেশে এ মূহুর্তে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই। সংকট চলছে বিএনপির রাজনীতিতে, বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলছে, তারা কোন গণতন্ত্রের কথা বলছে? তাদের ভাষায় গণতন্ত্র কি তাহলে হালুয়া- রুটির গণতন্ত্র?
বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে এক চিমটি লবণ, এক মুষ্টি গুঁড় আর আধাসের পানির মিশ্রনের মতো গণতন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে আরও অনেক পথ ধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
বিএনপির দলীয় নেতৃত্বের মাঝে পারস্পরিক আস্থার সংকট এখন চরমে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘বারবার আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতা এবং হতাশয় বিএনপির রাজনীতিতে সংকটের কালো ছায়া পড়েছে।’