তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দুপুর সোয়া ১টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা ইউসুফ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে গত ১৯ নভেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন পর তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন।
কামাল ইবনে ইউসুফ মৃত্যুকালে স্ত্রী, চার মেয়ে এবং অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এমরান সালেহ জানান, কামাল ইবনে ইউসুফের প্রথম জানাজা আজ বাদ এশা গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী শুক্রবার বেলা ৩টায় মরহুমের নিজ এলাকা ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
কামাল ইবনে ইউসুফের মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকার্ত পরিবার, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কামাল ইবনে ইউসুফ ১৯৭৯ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং তিনি ফরিদপুর-৩ আসন থেকে দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন।
তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের সরকারের সময় প্রথম মন্ত্রী হন। সেই সাথে তিনি বিএনপি আমলে ১৯৯১ সালে স্বাস্থ্য এবং ২০০১ সালে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
তার মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফরিদপুর সদর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।