দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে শিগগিরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এর আগে নিম্ন আদালত হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।’
‘এরপর তিন দিন চলে গেছে, কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ ও মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এখনও কার্যকর হয়নি। আমরা আমাদের নেত্রীর (খালেদা) শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পার করছি,’ বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন রিজভী।
গত মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের একটি প্রতিনিধিদল খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ফখরুল জানান, বিএনপি প্রধানের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য খুব শিগগিরই খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নেয়া হবে।
রিজভী অভিযোগ করেন, গত এক মাস ধরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের অনুমতি দিচ্ছে না সরকার।
‘তার প্রতি এরকম প্রতিহিংসামূলক আচরণ কেন দেখাচ্ছে সরকার? আমরাও কারাগারে ছিলাম, সেসময় প্রতি সপ্তাহে আমাদের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করতো,’ যোগ করেন বিএনপি নেতা।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ দুই বার তার আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাতের জন্য আবেদন করলেও অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা গত দুই মাসে অনেক চেষ্টা করলেও কর্তৃপক্ষ তাদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিচ্ছে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের বয়স এবং গুরুতর অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাকে কারামুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান রিজভী।
এছাড়া খালেদাকে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার অনুমতি দিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।