রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে এ বিষয়ে ইতিপূর্বে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
রবিবার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
এর আগে নাশকতার অভিযোগে যাত্রাবাড়ি ও দারুস সালাম থানার আরও চারটি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ গত ১৭ আগস্ট বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে হরতাল-অবরোধের সময় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘মামলাগুলোর এফআইআর-এ খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। ওই হরতাল-অবরোধের সময় খালেদা জিয়া ঘরে অবরুদ্ধ ছিলেন। শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে আসামি করা হয়েছে।’
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি ও ৩ মার্চ পৃথক দুটি মামলা হয়। একই বছরের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ি থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। এসব মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়।
মামলাগুলো বাতিল চেয়ে পৃথক আদেশ করলে ২০১৭ সালের মে মাসে হাইকোর্ট মামলা চারটির কার্যক্রম স্থগিত করে। একই সাথে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এসব মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। যা রবিবার খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।