তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম বেশ অসুস্থ। উনি এখনো ভালোভাবে খেতে এবং পা ভাঁজ করতে পারছেন না। তার বাঁ হাতে কোনো উন্নতি নেই। তিনি এ হাতে কাজ করতে পারছেন না এবং তিনি এমন অবস্থার মাঝ দিয়েই যাচ্ছেন।’
বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে আসার পর বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘আমি এককথায় বলতে পারি যে ম্যাডাম যথেষ্ট অসুস্থ। আমাদের মনে হয় না আগের অবস্থার তুলনায় তার শারীরিক অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়েছে।’
ফখরুলের মতে, তাদের চেয়ারপার্সনের উল্লেখযোগ্য উন্নতির জন্য বিশেষ সেবা ও ‘বিশেষায়িত চিকিৎসা’ দরকার। ‘আমরা মনে করি তিনি এখন তেমন চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’
তিনি বলেন, তাদের চেয়ারপার্সনকে তার পছন্দ অনুযায়ী বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসক দিয়ে সুচিকিৎসা করানো একান্ত প্রয়োজন।
ফখরুল বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে বিএসএমএমইউর ৬২১ নম্বর কক্ষে যান এবং ঘণ্টা খানেক পর তারা বেরিয়ে আসেন।
বিএনপি মহাসচিব জানান, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা এবং তাদের গণতন্ত্র ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি ও বিএনপির ছয় সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে ফখরুল না সূচক জবাব দেন। ‘আমরা তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেছি।’
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে আছেন।
খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির জন্য বিএনপি নেতাদের দাবির মাঝে গত ১ এপ্রিল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে আসার পর এ প্রথম তিনি দলের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন।