সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত বোর্ডের পারমর্শে দেয়া চিকিৎসা নিয়ে খালেদা জিয়া সন্তুষ্ট আছেন। তাকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়ায় তিনি এখন ঝুঁকিমুক্ত।
বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত সাত মাসে তার (খালেদা জিয়ার) স্বাস্থ্যের অবস্থা হয় উন্নতি হয়েছে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। তিনি এখন স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধান হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং তাকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য সরকার গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ওষুধ খাচ্ছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে যথাযথ চিকিৎসা না দেয়ায় তার অবস্থা শঙ্কার দিকে যাচ্ছে বলে দলটির নেতা-কর্মী ও পরিবারে পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এর আগে শুক্রবার খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম জানান যে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চায় তার পরিবার।
বিএসএমএমইউতে বোনের সাথে সাক্ষাত শেষে গণমাধ্যমকে সেলিমা বলেন, ‘তার বোনের (খালেদা জিয়ার) অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তার পা বেঁকে যাওয়ায় তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। তার বিছানায় শুতেও সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাকে ভালো চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চাই।’
তিনি দাবি করেন, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কোনো চিকিৎসক তাকে দেখছেন না এবং কোনো চিকিৎসাও করছেন না। ‘তাই আমরা শুধুশুধু কেন তাকে এখানে (বিএসএমএমইউ) ফেলে রাখবো? আমরা তার ভালো চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে চাই।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ থেকে জেলে রাখা হয়েছে। একই বছর অন্য একটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও তার দলের পক্ষ থেকে দুটিকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা বলে দাবি করা হচ্ছে। বিএনপি প্রধান গত ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।