শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মওদুদ বলেন, ‘বেগম জিয়া তার মুক্তির জন্য কারও কাছে মাথা নত করবেন না। তিনি বাংলাদেশের ১৬-১৭ কোটি মানুষের নেতা। হয় তার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় হবে, না হলে জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে হবে। অন্য কোনো পথে তার মুক্তি হবে না।’
‘প্রকৃতপক্ষে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ ব্যতীত তার মুক্তি সম্ভব নয়। কারণ তিনি কারও সাথে কোনো বোঝাপড়ায় পৌঁছাতে পারেন না। প্রয়োজনে তিনি কারাগারে আরও বেশি কষ্ট সহ্য করবেন, তবু তিনি বর্তমান সরকারের সাথে কোনো আপস করবেন না,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, ‘যে মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সে মামলা আইনানুগভাবে করা হয়নি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলা করেছে।’
বিভিন্ন আইনের উদাহরণ টেনে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, মামলা কার্যক্রমের যেকোনো পর্যায়ে অসুস্থ, নারী ও বয়স্ক দোষী ব্যক্তিকে হাইকোর্ট জামিন দিতে পারে। কিন্তু ৭৪ বছর বয়সী অসুস্থ খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না।
‘এমনকি যারা ঘৃণিত অপরাধী ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন, তাদেরও জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে দেয়া হয় না,’ যোগ করেন তিনি।