বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তার (খালেদা) জিহ্বায় আলসার হয়েছে। গত এক সাপ্তাহে তার ওজনও কমেছে প্রায় ৪ কেজি। ইট ইজ ভেরি এলার্মিং। তিনি এখন কিছুই খেতে পারছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে আমাদের নেত্রীকে মুক্তি এবং তার পছন্দ অনুযায়ী দেশে অথবা বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ কথা বলেন।
দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আদালত। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ফখরুল বলেন, তার অবস্থা খুবই মারাত্মক এবং তিনি নড়াচড়াও করতে পারছেন না। ‘তাকে দুজন সাহায্য করে বিছানা থেকে উঠাতে হয় এবং হুইল চেয়ারে বসিয়ে তাকে টয়লেটে, ওয়াসরুমে নিতে হয়। এ অবস্থায় তাকে কারাগারে রাখা অমানবিক।’
তিনি আরও বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন তার সাথে সরকারের এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, তার প্রয়োজনীয় খাবার ও ফলমূল এখন সঠিক মতো তাকে দেয়া হয় না। ‘সবচেয়ে বড় হচ্ছে তার চিকিৎসা -এটা কোনো মতেই এখানে (বিএসএমএমইউ) সম্ভব হচ্ছে না।’
আলসার ছাড়াও খালেদা জিয়ার দাঁত সার্প (চোখা) হয়ে গেছে। ‘যার ফলে তিনি এখন কিছু খেতেও পারছেন না। এই বিষয়টা ধরা পড়ার পরে সেখানকার চিকিৎসকরা টুথ ব্রান্ডিং করেছিলেন যাতে সার্পনেসটা কমিয়ে এনেছিলেন। এখন তার দাঁতের সার্পনেস আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে।’
ফখরুল বলেন, তার রুট ক্যানেল করা দরকার, স্কেলিং করা দরকার। দুই-একটা দাঁত তার নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো তুলে ফেলা দরকার।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার সুগার লেভেল ইনসুলিন ও অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার পরও কমছে না। ‘তার সুগার লেভেল ২০ এর উপরে এবং এটা অত্যন্ত এলার্মিং।’
তারা খুবই উদ্বিগ্ন জানিয়ে ফখরুল বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।