তিনি বলেন, ‘দেশে এখন আইনের শাসন নেই। তারা (সরকার) এখন দেশ প্রেমিক ও সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে জঘন্য নাটক করছে। দয়া করে নাটক বাদ দিয়ে দেশনেত্রীকে জামিন নিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করুন।’
খালেদার খারাপ কিছু হলে দেশের মানুষ কখনই সরকারকে ক্ষমা করবে না বলে সতর্ক করে দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষ এখন অবগত রয়েছে।’
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর ধার্য করে। সেই সাথে তার চিকিৎসায় নিয়োজিত বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ড ২৮ নভেম্বরের আদেশ অনুযায়ী খালেদার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার জমা দিতে না পারায় তাদের এ প্রতিবেদন ১২ ডিসেম্বর জমা দিতে বলে আদালত।
ওই দিন আদালত চত্বরে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের হট্টগোলের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সমালোচনা জবাবে ফখরুল ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বরের কথা মনে করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘জামিন শুনানির সময় আমাদের নেত্রী খালেদার পক্ষে দাঁড়ানোয় জঘন্য অপরাধ হয়েছে বলে সরকারের মন্ত্রীরা আমাদের আইনজীবীদের সমালোচনা করছে। কিন্তু এ ধরনের মন্তব্যের আগে একটু পিছনে ফিরে তাকান। আমাদের আইনজীবীরা খারাপ কিছু করেনি। তারা নিজেদের স্থানে থেকেই ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে।’
সাংবাদিকদের কিছু ছবি দেখিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা আদালত চত্বরে লাঠি নিয়ে মিছিল করেছে এবং প্রধান বিচারপতির চেম্বার লণ্ডভণ্ড করেছে।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আদালত চত্বরে পার্ক করে রাখা আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমরের গাড়িতে আগুন দিয়েছিল।
‘যারা এ ধরনের ক্রিয়াকলাপে লিপ্ত ছিল তাদের অনেককে পরে বিচারক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন আপনি হুমকি দিচ্ছেন এবং বলছেন যে আমাদের আইনজীবীদের আচরণটি ক্ষমাযোগ্য নয়। তাই, অতীতে সুপ্রিম কোর্টে আপনি কী করেছিলেন তা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার,’ যোগ করেন তিনি।