মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পরপরই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনার জন্য কেরানীগঞ্জের কারাগারে আদালত বসাতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের গুরুতর অসুস্থ নেত্রীর চিকিৎসা সম্পন্ন না হলেও তাকে কারাগারে নেয়ার চক্রান্ত চলছে।’
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগুন নিয়ে আর খেলবেন না। এ হিংসার আগুনে একদিন হয়তো আপনাদের নিজেদেরই সর্বনাশ হবে। খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলছেন এবার সেই ডার্টি গেম বন্ধ করুন। জামিনে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার বন্ধ করুন।’
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।
খালেদা জিয়ার ১৭ মামলার বিচারের জন্য কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে অস্থায়ী আদালত বসাতে রবিবার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে রিজভী সরকারকে বলেন, ‘আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার বন্ধ করুন। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেন না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আদালতের স্বাধীনতাকে কারাগারে বন্দী করবেন না।’
তিনি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান। ‘তা না হলে জনগণ আপনাদের রেহাই দেবে না।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, সরকার যদি বারবার তাদের চেয়ারপার্সনের জামিনে বাধা দেয় তবে রাজপথেই তার ফয়সালা করা হবে।
জিডিপির হিসেবে বাংলাদেশকে কানাডা ও স্পেনের সাথে তুলনা করায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থানের অভাবে চাকরির জন্য জীবনবাজি রেখে ইতালি পাড়ি দিতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন আমাদের ৩৭ হতভাগা ভাই।’