অবশ্য আজ-কালের মধ্যে ঘোষণা আসতে পারে। তবে এবার খুলনা অঞ্চলের সাতজন ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্য দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সরাসরি কেউ মুখ না খুললেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলরা বলেছেন, ক্ষমতার প্রভাবে বিতর্কিত ও অযোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি এবার। তৃতীয়ত ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের প্রার্থী করে আনা হয়েছে চমক।
দলীয় সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগ ৩৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। রবিবার থেকে সারাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হস্তান্তর শুরু হয়। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এসব প্রার্থীদের এ চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন। শরিকদের জন্য কিছু বাদ রেখে বেশির ভাগ আসনেই নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এদের মধ্যে বর্তমানে এমপি ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন বাদ পড়েছেন। সেখানে এসেছে নতুন মুখ।
বাদ পড়া সংসদ সদ্যসরা হলেন- খুলনা-২ আসনের মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা-৬ আসনের শেখ মো. নূরুল হক, বাগেরহাট-২ আসনে মীর শওকত আলী বাদশা, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন, ঝিনাইদহ-৩ আসনের নবী নেওয়াজ, যশোর-২ আসনের মনিরুল ইসলাম ও মাগুরা-১ আসনে এটিএম আব্দুল ওয়াহাব।
দলের নেতা-কর্মীরা জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া বিতর্কিতদের এবার মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। আবার সংগঠনকে সুসঙ্গত করতে বর্তমান এমপিকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে মনোনয়ন বঞ্চিত একাধিক সংসদ সদস্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ‘নৌকা প্রতীকে’ ভোট চেয়েছেন তারা।
অন্যদিকে সদ্য মনোনয়নপ্রাপ্ত একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী বললেন, ‘নৌকা যার নেতা-কর্মীরা তার। সকলকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে চাই।’
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই খুলনার ৬টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ছিল। এছাড়া আগে থেকেই কয়েকটি আসনে প্রার্থী বদল হতে পারে এমন গুঞ্জনও ছিল। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী ঘোষণার পর সে সব কথার অনেকটাই সত্যি হয়। খুলনা-২ আসন থেকে বাদ পড়েন মহানগর আওয়ামী লীগের দাপুটে সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান এমপি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান। একইভাবে নানা বিতর্কের কারণে খুলনা-৬ আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট শেখ মো. নুরুল হক বাদ পড়েন।
রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ খুলনা-২ আসনে (সদর ও সোনাডাঙ্গা) দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। খুলনা-৬ আসনে (পাইকগাছা-কয়রা) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবুকে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে।
এবিষয়ে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বলেন, ‘প্রতিটি আসনে দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইলেও নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে না। আমরা সবাই নৌকার পক্ষে সম্মিলিতভাবে কাজ করবো।’
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার পরই নৌকার পক্ষে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়েছেন। বিভিন্ন আসনে যারা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন সকলকে সাথে নিয়েই একসাথে প্রচারণা শুরু করা হবে। দলের কৌশল নির্ধারণ করতে দলীয় সভা আহ্বান করা হয়েছে।