‘তাকে (খোকা) দেশের মাটিতে দাফন করার জন্য আমাদেরকে ও তার বন্ধুদের বলেছেন। তার ছেলে সকালে (রবিবার) আমাকে টেলিফোনে তার বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণ করার কথা জানিয়েছেন,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার নগরীতে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘তাকে দেশে আনার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি।’
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ শাখা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাইস-চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
গত ১৮ অক্টোবর থেকে সাদেক হোসেন খোকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিএনপির এ নেতা চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ২০১৭ সালে তার পাসপোর্টের মেয়াদউত্তীর্ণ হয়।
ফখরুল বলেন, খোকার তার জীবন নিয়ে যুদ্ধ করছেন এবং তার অবস্থা খুবই সংকটাপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন সাদেক হোসেন খোকা। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন ও দলের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি হন।
১৯৯১ সালে সূত্রাপুর-কোতোয়ালি আসন থেকে খোকা প্রথমবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন এবং পরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হন।
২০০১ সালে একই আসন থেকে তিনি এমপি নির্বাচিত হন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
পরে ২০০২ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি প্রায় ৯ বছর ধরে ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে সাবেক মন্ত্রী খোকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলে তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানের চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতার কারণ শনাক্ত করতে পারেননি। পরে ২০১৪ সালের ১৪ মে ক্যান্সারের চিকিৎসা করানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান খোকা।