নিহত জামাল উদ্দিন আকবর (৩৫) কোলাগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কোলাগাঁও এলাকার আলাউদ্দিন দফাদার বাড়ির মৃত এয়াছিনের (উলা মিয়া) ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ৯টায় দিকে কোলাগাঁও টেক এলাকায় আকবরের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শাহীনুর নামে এক যুবলীগ কর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে যুবলীগ কর্মী শাহীনুর দলবল নিয়ে কোলাগাঁও টেক এলাকায় জড়ো হয়। এসময় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন আকবরকে একা পেয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আনলে রাত সাড়ে ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুরকে একইভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল। ওই মামলায় জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে খুনিরা একই সংগঠনের সভাপতিকে একই কায়দায় হত্যা করে।
পটিয়া কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শফিক জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটেছে।
ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দলীয় কয়েকটি সূত্র ও স্থানীয়রাও জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত আকবরকে গুরুতর অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুত্র জানায়, পটিয়ার কোলাগাঁও ইউনিয়নে একাধিক বিদ্যুৎ কারখানার নির্মাণ কাজ চলছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা সিন্ডিকেট করে নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করে আসছে। ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
হত্যাকাণ্ডে পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।