রবিবার সকাল ১১টায় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিলে, এবং প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা হলে এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
পরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় এসআই হাসান আহত হন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেলা ১২টায় আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
অন্যদিকে হাজীগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রে সকাল ১০টায় দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা ১১টায় হাজীগঞ্জ থানার ওসি আলমগীর হোসেন পসিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
অপরদিকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর ভুঁইয়া একাডেমি কেন্দ্রে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের কারণে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চাঁদপুর-৩ আসনের সদর ও হাইমচর আসনের হাইমচরে কমলাপুর এলাকায় পুলিশের গাড়ীতে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। বেলা পৌনে ১১টায় দেয় এ আগুনে গাড়ীটি সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়। এ সময় গাড়ির ড্রাইভার শাহাদাত ও কনস্টেবল শফিক আহত হয়। পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এ ঘটনার পরপরই বিএনপির সর্মথকদের ৫টি বাড়ি এবং ৩টি দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়।
হাইমচর থানার ওসি শেখ মহসিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শাহরাস্তির খামপাড় এলাকার মোশাররফ নামে একজন ভোটার জানান, তিনি ঢাকা থেকে ভোট দেয়ার জন্য পরিবার নিয়ে বাড়ি এসেছেন। সকাল ৮টায় কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারেন তার ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে।
চাঁদপুর সরকারি কেন্দ্রে দূপুর ১২টায় মহসিন নামে এক ভোটার গেলে তাকে জানানো হয় ব্যালট পেপার শেষ। পরে তিনি ব্যালট পেপার পেলেও তাকে সবার সামনে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়।
চাঁদপুর সদর-হাইমচর আসনের নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি এমপি সকাল ৯টায় তার নিজ বাড়ির পাশে কামরাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ধানের শীষের মানিক টেলিফোনে ইউএনবিকে বলেন, তিনি সকাল ১০টায় ভোট দিতে বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে বাধা দেয়। ফলে তিনি ভোট দিতে পারেননি।