ঘটনার চারদিন পর সোমবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফেরদৌস হাসান।
মামলায় সারোয়ারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
এর আগে গত শনিবার (১১ মে) বিকালে ওই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছিলেন ফেরদৌস হাসান।
হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দ্রুত মামলা দায়ের ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হচ্ছিলো। এই দাবিতে গত শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা।
সোমবার দুপুরেও সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এই সংবাদ সম্মেলনের পর রাতে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী ফেরদৌস হাসান বলেন, চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের দাবি জানানো হয়েছিল। আমরা মামলা করেছি। এখন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগা একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি প্রদর্শন করে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক।
নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দিলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।