‘সরকার মনে করছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের ফলে আমাদের জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে। কিন্তু আমি বলতে চাই, এ রায়কে অগ্রাহ্য করে জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন চলমান থাকবে,’ বলেন তিনি।
এক আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা শিগগিরই জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা উপস্থাপন করব। আন্দোলনের রূপরেখাও ঘোষণা করব। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ঐক্যের রূপরেখার ভিত্তিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেব।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জিয়া পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, জাতীয় ঐক্যের আন্দোলনের ফলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকার সংলাপে বসতে বাধ্য হবে।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের ‘কণ্ঠরোধ’ করার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করেছে বলে সমালোচনা করেন তিনি। তার মতে, আইনটিতে থাকা ৭-৮টি ধারা সম্পূর্ণভাবে সংবিধান পরিপন্থী।
সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, দুঃখজনক যে সাংবাদিকরা আইনটির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত নন। তিনি পেশাগত স্বাধীনতা রক্ষায় আইনটি বাতিলে সরকারকে বাধ্য করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি আইনটির বিরুদ্ধে রয়েছে তা পুনরায় জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট পেয়ে ক্ষমতায় গেলে সাত দিনের মধ্যে তারা এটি প্রত্যাহার করে নেবেন।