রাজধানীর এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আগামী দিনে একটি জোটের নেতৃত্ব দেবে এবং ওই জোট সরকার গঠন করবে।’
তিনি বলেন, প্রতিটি বড় দলই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। কারণ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন না করলে ভালো ফলাফল করা যাচ্ছে না।
‘কিন্তু বড় দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে ছোট দলগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়ে,’ বলেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে পারলে স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতিতে একটি জোটের নেতৃত্ব দিতে পারবে জাপা। ‘আগামীতে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছরে জাতীয় পার্টি ক্ষমতার বাইরে থেকে ঘাত-প্রতিঘাত ও চাড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, সকল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
কাদের বলেন, তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতামত, পরামর্শ এবং শক্তিতে জাতীয় পার্টি পরিচালনা করতে চান।
‘আমি পার্টির সাধারণ কর্মীদের সমর্থন ও আস্থা নিয়ে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিতে চাই। আমি কর্তৃত্বপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না,’ যোগ করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, যদিও তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অধীনে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রতি ক্ষমতাসীন দলের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
রাঙ্গা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে কোন্দল থাকলেও জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ।