মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতকে সাথে রেখেই বিএনপির সাথে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়তে যাচ্ছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, আমি ও আমার দল যাব না, তবে অন্যদলগুলো কী করবে তা বলতে পারি না।
তিনি বলেন, যতদূর জানি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল (নির্বাচন কমিশনের হিসেবে) হওয়ায় তাদের আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই।
সারাজীবনে কখনো জামায়াতের সাথে যাননি উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, শেষ জীবনে এসে সেটা করতে যাবো কেন?
তবে দেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বৃহত্তর আকারে জাতীয় ঐক্য তৈরির ব্যাপারে একটা অগ্রগতি হয়েছিল বলে জানান তিনি।
বৃহত্তর ঐক্য তৈরি হলে কারা নেতৃত্ব দেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল জানান, তিনি যৌথ নেতৃত্বে বিশ্বাস করেন, স্বতন্ত্রে নয়।
গণফোরাম সভাপতি জানান, জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা হিসেবে তারা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর গুলিস্তানের মহানগর নাট্য মঞ্চে জনসমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালতকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত ‘সংবিধান সম্মত হয়নি’ বলেও মনে করেন কামাল হোসেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা এটা তারা (বিএনপি) আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে। আদালত এটার বিচার করবে। তবে, আমি আদালতে গেলে এটাই বলব, এটা সংবিধান সম্মত না।’
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল আরো বলেন, একজন ‘বিরোধীদলীয় নেতার’ বিচার কারাগারে করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
কর্নেল তাহেরের বিচার কারাগারে হয়েছিল বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দেয়া যুক্তির জবাবে তিনি বলেন, ‘সামরিক শাসনে সেই বিচার হয়েছে। ৪১ বছরের আগের উদাহরণ দিয়ে এটা করার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।’