জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এ ঘোষণা দেন।
রাঙ্গা বলেন, মারা যাওয়ার আগে এরশাদ এক সাংগঠনিক নির্দেশনার মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তার অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যান হবেন জিএম কাদের। ‘তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আজ থেকে জিএম কাদের আমাদের দলের চেয়ারম্যান।’
জিএম কাদেরকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বানও জানান রাঙ্গা।
সংবাদ সম্মেলনে দলের কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য উপস্থিত থাকলেও এরশাদের স্ত্রী ও দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে সেখানে দেখা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের বলেন, তাদের দলে কোনো দ্বন্দ্ব বা বিভেদ নেই। ‘জাতীয় পার্টির সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ আছেন। পল্লীবন্ধুর মৃত্যুতে আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা দলকে আরও শক্তিশালী করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এরশাদের শূন্য আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে তারা গঠনতন্ত্র অনুসারে দলের ফোরামে আলোচনা করবেন।
এছাড়া, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করে দল সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
কাদের বলেন, জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে দলের একটি সাংগঠনিক টিম অচিরেই দেশব্যাপী কার্যক্রম শুরু করবে।
দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের স্মরণে অবিলম্বে একটি সভার আয়োজন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সাল চিশতী, মো. আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।