তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল (রবিবার) কোনো কারণ ছাড়াই সংসদে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। তারা বলছে জিয়াউর রহমান অবৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন, ২৯ ডিসেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের মতো ভোট ডাকাতি করে নয়।’
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আয়োজনে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে মোশাররফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নিজেদের অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা ধামাচাপা দিতে জিয়াকে অবৈধ বলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সংসদে বলেন যে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের ক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী দুজনের কাউকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা বৈধ নয়।
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল গঠন এবং ২৯ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অন্যদিকে, জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া এরশাদের স্বৈরশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করেছিলেন।
বর্তমান সরকারের ‘অপশাসন’ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের ব্যর্থতার কারণে মানুষ এখন সংকটের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত এবং দেশে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধারের’ জন্য দলের নেতা-কর্মী, বিশেষ করে নারীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মোশাররফ।
বর্তমান সরকারকে মানুষ যথাসময়ে উচিত জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের আমলে এক আওয়ামী লীগ নেতার আবেদনের পর দলটির পুনর্জন্ম হয়। ‘তাই, জিয়াউর রহমান যদি অবৈধ হন তাহলে আওয়ামী লীগ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও অবৈধ।’