বুধবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বসানো অস্থায়ী আদালতে এই লিখিত আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
যুক্তিতর্ক ছাড়া রায় ঘোষণা এবং বিচারকের প্রতি দুই আসামির অনাস্থার কথা জানিয়ে সময়ের আবেদনের বিষয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ঠিক করেছেন বিচারক মো. আখতারুজ্জামান।
কারাগারের ভেতরের আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া হাজির হতে রাজি না হওয়ায় ২০ সেপ্টেম্বর তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন বিচারক।
আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দেয়া সময়ের তৃতীয় দিন বুধবার বেলা ১১টা থেকে ৪০ মিনিটের মতো আদালতের কার্যক্রম চলে।
খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া অন্যদিনের মতোই জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। পাশাপাশি তার সিনিয়র আইনজীবী আবদুর রেজাক খানের অসুস্থতার কথা জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামি মনিরুল ইসলাম খানের স্থায়ী জামিন বহাল রাখার আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. আক্তারুজ্জামান।
বিচারক খালেদার জামিন বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং মনিরুলের জামিন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।