বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শেরেবাংলা নগর থেকে শহীদ জিয়ার মাজার সরিয়ে ফেলার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করার পর এবার তারা চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর দখল করতে মাঠে নেমেছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’কে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরের প্রস্তাব দেয়ার পরদিনই চট্টগ্রামে জাদুঘর থেকে জিয়ার নামফলক কালি দিয়ে মুছে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন।
‘এটি শুধু নোংরামিই নয়, এটি কাপুরুষতা। শাসকশক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অর্থই হলো মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অপমান করা,’ যোগ করেন রিজভী।
বিএনপি নেতা বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্র তাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন জনগণের মনে আঘাত দিচ্ছেন। আমি সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে মানুষের মনে আঘাত দেবেন না। না হলে রাষ্ট্রশক্তির হিংস্র আক্রমণ প্রতিহত করে আপনাদের কালো হাত ভেঙে দেবে দেশের মানুষ,’ বলেন তিনি।
জিয়ার নাম জাদুঘর থেকে মুছে ফেলা এবং সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার মাজার সরিয়ে ফেলা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
‘রাষ্ট্র ক্ষমতা, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও বন্দুক ব্যবহার করে সরকার মানুষের হৃদয় থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলতে পারবে না,’ যোগ করেন তিনি।