মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এ ফল অস্বাভাবিক এবং এতে অনেক অসামঞ্জস্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দ্বারা কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা এর কোনো নীলনকশা উপাচার্যের বাসভবনে বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা তা দু-এক দিনের মধ্যে বলা যাবে।’
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর নির্বাচন ভিপি থেকে সদস্য পর্যন্ত প্যানেলের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় এবং একটি প্যানেলের সব সদস্যরা কাছাকাছি ভোট পায়। ‘কিন্তু ডাকসু নির্বাচনে কোটা সংস্কার প্যানেল ও ছাত্রলীগ প্যানেলের ভিপি ও জিএস প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান অনেক। এটাকে আমরা অস্বাভাবিক বলতে পারি।’
দীর্ঘ ২৮ বছর পর সোমবার ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূর। অন্যদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়ী হয়েছেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, সোমবার ডাকসুর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। সরকারের ফতোয়া শুনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ‘ভূতের বেগার’ খেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমহান ঐতিহ্যকে ধুলোয় লুটিয়ে দিয়েছেন। ‘সরকারের আজ্ঞাবাহী উপাচার্য ডাকসুর নির্বাচন করলেন প্রহসন ও সন্ত্রাসী বাতাবরণে।’
তার আরও অভিযোগ, ছাত্রলীগকে ‘ভোট ডাকাতির’ সুযোগ করে দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার ‘অতৃপ্ত আত্মাকে’ নিজের দেহে ধারণ করেছেন ঢাবি উপাচার্য।
‘ছাত্রলীগ নামধারী বর্গী ও মগদের অভয়ারণ্যের মধ্যেও উদ্দীপ্ত প্রাণের সাহসী তরুণরা ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। আমি মনে করি এ প্রতিবাদে অংশ নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্ররা ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলো প্রমাণ করেছে যে তারা আলোর পথের যাত্রী,’ যোগ করেন রিজভী।