শনিবার নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মতকে উপেক্ষা করে বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংসদীয় কমিটি। আইনটি পাস হলে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের একক ক্ষমতার অধিকারী হবে।
এই আইনের ফলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে জানিয়ে রিজভী বলেন, গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতেই এই আইন করা হচ্ছে। শুধু গণমাধ্যমই নয়, সরকারবিরোধী যেকোনো সমালোচনার পায়ে জিঞ্জির পরাতেই এই আইন। যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও উচ্চারণ করতে না পারে।
তিনি আরো বলেন, নতুন আইনে যেকোনো মানুষকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুচ্ছ অজুহাতে গ্রেফতার করতে পারবে, আমি দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই-এই কালো আইন পাশ করা যাবে না। আমি দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষকে এই কালো আইনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আইনটির ওপর তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, তার (খালেদা) ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ না দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন দুরভিসন্ধিমূলক। গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা নিয়ে এটি এক চরম তামাশা।
মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাঁচজন চিকিৎসক নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে সরকার।
গত ৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল দেখা করেন। তারা খালেদার জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।