বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস (ঢাকা-৮) স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে (ঢাকা-৯) সাথে নিয়ে শাহজাহানপুর এলাকায় পথচারী ও দোকানদারদের মাঝে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেন।
দল ও জোটের অন্য প্রার্থীরাও নিজেদের নির্বাচনী এলাকা সফর এবং ধানের শীষের জন্য ভোট চাওয়া শুরু করেছেন।
ঢাকা-১১ আসনের বিএনপি প্রার্থী শামীম আরা বেগম সকালে বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
এদিকে প্রচারণা শুরুর আগে শাহজাহানপুরের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, তাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রতিনিয়ত অনুসরণ করছেন।
‘আমি ঢাকা-৮ আসনে এবং আমার স্ত্রী ঢাকা-৯ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশ্বাস দিয়েছিলেন যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না, কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদের নিয়মিতভাবে গ্রেপ্তার এবং বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হচ্ছে,’ যোগ করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, সাদা পোশাকের পুলিশ সব সময় তার বাসার গেটে দাঁড়িয়ে থাকেন। ‘আমিসহ আমার পরিবার ও নেতা-কর্মীরা এখন ভয়ের মাঝে আছি।’
আব্বাস আরও বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং আমার পরিবারের সদস্যরাও নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ কেউ আমার বাসায় আসতে পারেন না। এটা অমানবিক আচরণ।’
তিনি জানান, তার প্রায় সাড়ে তিন হাজার সক্রিয় কর্মী কারাগারে আছেন। ‘সুতরাং, আমি কীভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাব? আফরোজা আব্বাসও একই সমস্যার মুখোমুখি।’
আব্বাস অভিযোগ করেন, সোমবার তার বাসায় দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ শেষে ঘরে ফেরার পথে তার ২৫ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিএনপির এ নেতা নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য যথাযথ পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানান। তার আশা, জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে তারা স্বামী-স্ত্রী নির্বাচনে সফল হবেন।
সংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আফরোজা আব্বাস বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য কোনো লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়নি। তিনি সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন এবং বিরোধী প্রার্থীদের যথাযথ কাভারেজ দেয়ার আহ্বান জানান।