সোমবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শেষবারের মদো তার মরদেহ ঢাকার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনা হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের সিনিয়র নেতারা তার কফিনটি দলীয় পতাকায় ঢেকে দেন।
এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তরিকুল দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেছেন এবং সারাজীবন দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আপোষ ছাড়াই লড়াই করেছেন। দেশ ও জাতি এখন একটি ক্রান্তিকাল সময় অতিক্রম করছে, এ সময়ে তার মতো একজন নেতাকে হারানো দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
এরপর বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে তরিকুল ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, জামিরউদ্দীন সিরকার, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকতুল্লাহ বুলু, শাহজাহান ওমর, মোহাম্মদ শাহজাহান, জয়নুল আবেদীন, শামসুজ্জামান দুদু, এজেএমএম জাহিদ, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানাজায় যোগ দেন। তাঁর দ্বিতীয় নামজ-ই-জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে।
তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে বিএনপি কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
তার অসুস্থতার কারনে তিনি দল ও রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধর নিষ্ক্রীয় ছিলেন।
১৯৪৬ সালের নভেম্বরে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন তরিকুল ইসলাম। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তারিকুলকে প্রথমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও পরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী করা হয়।
যশোরে থেকে চার বার নির্বাচনে জিতে সংসদে যাওয়া তরিকুল চারদলীয় জোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে তার কফিন হেলিকপটারে করে নিয়ে যাওয়া হবে তার নিজের জেলা শহরে।