তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন তরুণদের অগ্রগতির জন্য এবং জন্ম নিবন্ধনে বাবার নামের পাশাপাশি মায়েদের নাম যুক্ত করে তাদেরকে সম্মানের অধিকারি করেছেন। তরুণরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে। সারা বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার অবদানে ১৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে।’
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যা ৫টায় তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) আসনের বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ গেটে পথসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এসময় জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে তা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা প্রতীকের জন্য জনগণের কাছে ভোট চান তিনি। এসময় নেতা-কর্মীরা নৌকা প্রতীক, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
পথ সভায় ওবায়দুল কাদের তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের উদ্দেশে বলেন, তিনি গত ২২ বছরে যে উন্নয়ন করতে পারেননি, বর্তমান সরকার এ এলাকায় ১০ বছরে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মওদুদ আহমদের ৫ বছরের ক্ষমতার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মা-বাবার জানাজা পড়তে পারেনি, মামলা হামলাসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এমনকি তাদেরকে ঈদের নামাজ পড়তে দেয়া হয়নি। কিন্তু, আমরা ক্ষমতায় আসার পর, গত ১০ বছরে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করিনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছি।’
এসময় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, পৌর মেয়র মীজা কাদেরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।