তিনি বলেন, একজন দণ্ডিত পলাতক আসামি এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে কিনা এর বিচার জাতির কাছে চাই। জাতির কাছে বলতে চাই, দু’টি মালায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কেউ এ ধরনের বক্তব্য (নির্বাচনী বিষয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিডিও কনফারেন্সে সাক্ষাৎকার নেয়া) দিতে পারে কিনা। আমি ইলেকশন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রবিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন বলতে কোনো সরকার নেই। এখানে চারজন টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী ইলেকশন টাইমে থাকতে পারবে না। এটা সুনিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র দিয়েছে, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে দিলে এ্যাপ্রুভ (অনুমোদন) করবেন।
মন্ত্রিপরিষদের আকার কমতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেনি। তবে বাড়বে না এটা পরিস্কার।
ইলেকশন কতটুকু ফেয়ার হবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বাংলাদেশে এর আগে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তার চেয়ে এবার আরও ভাল নির্বাচন হবে। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে। শতভাগ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কোনো দেশেই হয় না। তবে ভাল নির্বাচন হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের মনোনয়নের বিষয়টা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তালিকা প্রায় চুড়ান্ত। তবে ফাইনালি ফিনিংসটা বাকি আছে। আমাদের এলায়েন্সের (জোট) সাথে আলোচনা করে ফাইনাল করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা নমিনেশনটা দিচ্ছি জরিপ রিপোর্টের ভিত্তিতে। যাদের ৬ মাস আগেও খারাপ ছিল, তারা হয়তো এখন ভাল হয়েছে, তাই তাদের নমিনেশন দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
শরিকদের কত আসনে ছাড় দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী যেটা বলেছেন তা হলো ৬৫ থেকে ৭০টি আসন শরিকরা পাবেন। তবে আলোচনা করে যদি মনে হয় কোনো যোগ্য প্রার্থী আছে, জয়ী হতে পারবে তাহলে সেটা বাড়ানো যেতে পারে।
তিনি বলেন, যেমন ধরুন মাশরাফি বিন মুর্ত্তজাকে মনোনয়ন দিলে যিনি সেখানে এখন ইলেকটেড প্রার্থী আছেন তাকে নমিনেশন দেয়া যাবে না। তাছাড়া ১৪ দলের ইলেকটেড যারা আছে তাদের বাদ দেয়ারও চিন্তা নেই। যদি একান্ত কারো পজিশন খারাপ হয় সেটা ভিন্ন কথা।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভির এক মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তো তার কথা শুনেছি, এ নির্বাচনের জন্য বিএনপি নিজেরাই লেজেগোবরে অবস্থায় আছে। কাকে কোথায় নমিনেশন দেবে সেটা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছে। তাদেরকে আয়নায় নিজেদের চেহারাটা দেখতে বলেন।