তবে চার সপ্তাহ পর তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন (মানিক) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওশাফুর রহমান।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে এমপি আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকা এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা অবৈধ সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এমপি আউয়াল অবৈধভাবে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এমপি আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকানার তথ্য রয়েছে।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে তিনটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে তিনটিতেই সাবেক এমপি আউয়াল এবং একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়। ওই তিন মামলায় তারা জামিনে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮-২০১৪ পর্যন্ত সময়ে পরপর দু’বার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন একেএম আউয়াল।