নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পেট্রোল বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশ এবং বিদেশের মানুষ জানে যে বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের এক অন্ধকার পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যেখানে স্বচ্ছ নির্বাচন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অদৃশ্য হয়ে গেছে। দেশ এখন ধর্ষণ ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপক ঘটনা দেখছে।’
গণমাধ্যমে দেয়া তথ্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এ বছর মে মাসের প্রথম আট দিনের মাথায় ৪১ শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং গড়ে প্রতিদিন পাঁচজন নির্বিচারে হত্যার শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ঘটনাগুলো সমাজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করলেও সরকারের এ বিষয়ে টনক নড়ছে না। বরং ক্ষমতাসীনদের আসকারাতেই অপরাধীরা শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যেখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়া কেউ ঢুকতে পারে না, সেই বিএসএমএমইউতে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় তথ্যমন্ত্রী এখন বিএনপির যোগসূত্র খুঁজছেন। এজন্যই বলেছি, আওয়ামী লীগের নেতারা মিথ্যাচার দিয়ে তাদের নিজেদের ষড়যন্ত্র ঢাকতে পটু।’
গত বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর প্রশাসনিক ভবনে রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে একটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে বিএনপি। গত ১ এপ্রিল থেকে খালেদা জিয়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে শনিবার চট্টগ্রামে নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএসএমএমইউতে বোমাসদৃশ বস্তুর সাথে বিএনপির কোনো সংযোগ আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিৎ। কারণ পেট্রোল দিয়ে হামলার বিষয়ে তো বিএনপি আগের থেকে পরিচিত।
তথ্যমন্ত্রীর দেয়া এ বক্তব্য সম্পর্কে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে পেট্রোল বোমা সংস্কৃতি চালু করেছে। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর এরূপ মন্তব্য দুঃখজনক। তার মন্তব্য কেবল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকারের ষড়যন্ত্রকে উন্মোচিত করেছে।