নিহতরা হলেন- স্থানীয় আহসান মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়া (২৭) ও রবি মিয়ার ছেলে আমান মিয়া (৩০)।
নিহতদের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং আহতরা নরসিংদী ও ভৈরবসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রায়পুরা থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মোজাফফর হোসেন এবং মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইউপি চেয়ারম্যান মানিক জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুস সাদেকের সমর্থক ফারুকুল ইসলাম ফারুকের নেতৃত্বে আগ্নেয়াস্ত্র ধারী ১০/১২ জন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীর সমর্থকদের বাড়ি এসে এলোপাতারি গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৭ জন আহত হয়।
তিনি বলেন, গ্রামবাসী গুরুতর আহত ৪ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে ইকবাল মিয়া ও আমান মিয়া মারা যায়।
এদিকে খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুরো মির্জারচর ইউনিয়ন পুরুষ শূন্য হয়ে যায়।
পুলিশ এলাকায় গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তর হয়নি। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিনুল কবির জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।