তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসার নজির নেই।’
মঙ্গলবার বিকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে আমরা হেরে গেছি। তারপর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের বদলে দুই বছর অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় ছিল। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে আমরা আবার ক্ষমতায় এসেছি।’
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে থেকে তারা সিইসি এবং নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে আসছেন। বাছাইয়ে তাদের অনেকের প্রার্থিতা ফিরে পাবার পর, তারা কমিশনকে ধন্যবাদও দিয়েছেন। যখন তাদের পক্ষে যায় ওই সময়ে ভালো, আবার বিপক্ষে গেলে কমিশন খারাপ।’
‘নির্বাচন তখনই নিরপেক্ষ হবে, যখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ নিবে। বিএনপির পক্ষ না নিলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা থাকে না। এটাই তাদের মানসিকতা,’ যোগ করেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি শুরু থেকে নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা শুরু করে। দেশের সরকার যদি কোন বৈরী আচরণ করে এটা জানাবে জনগণকে। অথচ তারা নালিশ জানায় বিদেশিদের কাছে। গত ১০ বছরে তারা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। আসলে বিএনপি একটি ব্যর্থ বিরোধী দল।’
সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ্যডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, নোয়াখালী পৌর সভার মেয়র শহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর রহমান মঞ্জু, সহ-সভাপতি আবু তাহের, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মমিন বিএসসি উপস্থিত ছিলেন।