তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে; ২০১৪ সালের মতো কিভাবে সহিংসতা করা যায়, তা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে এসব করে লাভ হবে না। আমরা জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করবো।
ট্রেনে চড়ে ‘নির্বাচনী সফরে’ উত্তরাঞ্চলে প্রচারণা শেষে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১০ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনি। দলটির নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে থাকার সময়ও জনগণ তার ডাকে সাড়া দেয়নি। এখন নির্বাচন থেকে পালানোর জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনীকালীন সরকারেও তাদের (বিএনপি) প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। কারণ তাদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব নেই।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে পদ্মা সেতুর নির্মাণ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, পদ্মা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে আনপ্রেডিকটেবল নদী। তাই আনুষাঙ্গিক সব রেডি থাকলেও যথাসময়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না।
তিনি বলেন, পিলারগুলো বসে গেছে, স্প্যানগুলো বসানো দুরুহ কাজ হয়ে পড়েছে। কিন্তু স্প্যানের সংযোগ করা যাচ্ছে না। তাই এ অনিশ্চয়তার মধ্যে নির্মাণ কাজ বিলিম্ভিত হতেই পারে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সফরে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে ট্রেনে চেপে উত্তরাঞ্চলে যান ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
পথে পথে বিভিন্ন স্টেশনে সভা করেন তারা। এসময় স্টেশনগুলোতে ১০ মিনিট করে ট্রেন যাত্রাবিরতি করে। এসব সভায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয় দলটির নেতারা।