বুধবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলা জালালসাফ গ্রামে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাকে কোনো প্রচারণা করতে দিবে না। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। ইলেকশন কমিশন কি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে প্রশ্ন তুলে ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী বলেন, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাজিরবাজার থেকে গণসংযোগ করে ফেরার পথে ব্রিজের নিকট পুলিশ তার গাড়িবহর থামায়। এ সময় ড. রেজা কিবরিয়াকে বহনকারী গাড়িসহ দু’টি গাড়ি ছেড়ে দিলেও বাকি ৪টি মাইক্রোবাস এবং ৮টি মোটরসাইকেল আরোহী ৩২ জনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। অন্ধকারে তারা গাড়ি থামিয়ে এ অভিযান চালায়। পোশাক পড়া বেশ কয়েকজন পুলিশ এবং সাদা পোশাকে আরও কয়েকজন ছিল। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে দাবি করেন তিনি।’
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সরকার আমাদেরকে অফিসিয়ালি জানিয়ে দিক যে, আমরা ভোটের প্রতিযোগিতায় অভ্যস্থ না। আমরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন চাই। আমরা চাই বিরোধী দল সরে যাক। আমরা পোষা বিরোধী দলে অভ্যস্থ। দেশের মানুষের সামনে তারা ওপেনলি বলে দিক। সেটি ভালো। তাহলে আমরা তা বিবেচনা করে দেখব। আওয়ামী লীগের অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন,‘তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গায়েবি মামলা দিয়েছে। মামলার কোনো হিসেব নেই। আমর প্রচারণা অত্যন্ত সফল হচ্ছে। তা দেখে তারা আতংকিত হয়ে পড়েছে।’
নিজের এজেন্ট দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এজেন্টদের তালিকা তৈরী করছি। গ্রেপ্তারের আশংকায় তাদের নাম এখনও প্রকাশ করছি না। বাবাকে না পেয়ে আমার সমর্থকের ১৬ বছরের এক ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তার জামিন করিয়েছি। এরপর তার বিরুদ্ধে আরও একটি জনপথ অবরোধের মামলা দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, অন্ধকারে কে জনপথ অবরোধ করেছে কেউ জানে?