এতে খোকনসহ পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সোনাইমুড়ি হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনী সভা শেষ করে খোকনসহ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোনাইমুড়ি বাইপাস সড়কে উঠার পরই বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর মোল্লা বলেন, লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ বিএনপি প্রার্থীর মিছিলে হামলা করে। এসময় আশেপাশের মানুষ ও দোকানদারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ নিরাপদ স্থানের দিকে ছুটাছুটি শুরু করে।
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ইউএনবিকে বলেন, লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত আওয়ামী লীগের লোকজন তার প্রচারণায় হামলা করে। হামলার সময় তারা দোকান-পাট ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
তার দাবি, পুলিশের উপস্থিতিতে তারা এই হামলা করে। এমনকি পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আওয়ামী লীগ ও পুলিশ একসঙ্গে তার প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে পুলিশ তার সমর্থক নেতাকর্মীর ওপর গুলি ছুড়েছে।
তিনি বলেন, সোনাইমুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ তাকে লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছুড়ে। গুলি তার পিঠে বিদ্ধ হয়। এছাড়া হামলায় থুতনিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও সৈয়দ আহমেদ আজিম বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন। বাকি দুজন হলেন- সোনাইমুড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ইকবাল হোসেন রুবেল, বিএনপি কর্মী সোহেল।
স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ আরও দুজনসহ ৪০ জন আহত নেতাকর্মী পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- জনি, নুরু, রতন, রুনু, জসিম, মোস্তাফিজ, ফরহাদ ও পারভেজ।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ ইউএনবিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে, পুলিশ গুলি করেছে এটি তিনি নিশ্চিত নন বলে জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানার পর আসলে সেখানে কি ঘটেছে তা জানাতে পারবো।