তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি যদি বিশ্বাস থাকে, জনগণের ওপরও আস্থা রাখতে হবে। ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণকে রায় দেয়ার সুযোগ দিন। মানুষ যে রায় দিবে আমরা তা মাথা পেতে নিব। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চক্রান্ত করলে কোনোভাবেই সরকার তা সহ্য করবে না।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেছে। গ্রামগঞ্জে ভোটের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। জনগণ ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন আর অন্য কোনো বিকল্প ভাবার সময় নেই।’ ভোটের লড়াইয়ে না এসে বিকল্প পথ খোঁজার চিন্তা পরিত্যাগ করতে তিনি এসময় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের প্রতি পরামর্শ দেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে নব নিয়োগপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের চাকরিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন করতেই হবে। এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে যারা বের হতে চান তারা দেশে বিশৃংখলা ও অশান্তি চায়। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের নামে নির্বিচারে জ্বালাও-পোড়াও দেখেছে বলে তাদের আজকের অবস্থানের উপর সাধারণ মানুষের সমর্থন নাই।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সংলাপ করে দেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক উদারতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ছোট বড় সব দলের সাথে কথা বলেছেন। অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সংলাপ হয়েছে। বাইরে উত্তপ্ত বক্তৃতা দিয়ে মাঠ গরম করে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ না বাড়িয়ে নির্বাচনে আসার জন্য তিনি বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন বক্তৃতা দেন।