শনিবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ফখরুল বলেন, ‘যখন আমাদের কথা বলতে দেয়া হয় না, যখন আমাদের নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালাতে দেয় না, আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে তখন এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের সাথে নিয়ে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই দানবকে (সরকার) পরাজিত করব।’
হাতে সময় খুব কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি জাতিকে বাঁচাতে হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে যদি বাঁচাতে হয়, আমাদের স্বাধীনতাকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে এখনই উপযুক্ত সময়। আসুন সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়ি। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা তাদের পরাজিত করব।’
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়সহ আইনজীবীরা সরকারের মিথ্যা মামলায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এমন রাষ্ট্রে বাস করছি যেখানে আইনজীবীরা পর্যন্ত মিথ্যা মামলায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, কষ্ট করতে হচ্ছে। গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে, সাড়ে চার হাজার গায়েবি মামলা। ড. কামাল হোসেন এটা আদালতে তুলেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা সুরাহা পাইনি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি বলেছেন যে সব সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন ধানের শীষে। তার এই কথা আমাকেও আঘাত করেছে। তার কথায় ড. কামাল হোসেন সাম্প্রদায়িক শক্তি, আ স ম আবদুর রব সাম্প্রদায়িক শক্তি, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাম্প্রদায়িক শক্তি, মাহমুদুর রহমান মান্না সাম্প্রদায়িক শক্তি, আমাদের মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সাহেব সাম্প্রদায়িক শক্তি, অলি আহমেদ সাম্প্রদায়িক শক্তি, যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা সাম্প্রদায়িক শক্তি।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আপনরাই প্রশ্রয় দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। জাতি জানে কখন কী করেছেন। কারা একসাথে বসে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে আন্দোলন করেছে তা সবাই জানে। এখন তাদের সাথে বসে কাওমি জননী হয়ে গেছেন, এটা সবাই জানে।’
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি, জাতীয় নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু অবাধ করবে?’