শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সশস্ত্র বাহিনীর দেড় শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঠে নামছেন। তারা মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রীয় ভবন গণভবনকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচনকে বিতর্কিত করে তুলেছে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দেড়শ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার যে অঙ্গীকার করেছেন তা কি আচরণবিধি ভঙ্গ করা নয়?’
বিএনপির এ নেতা দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্বাচনী আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হয় যে সরকার একতরফা ও ভোটারশূন্য নির্বাচনের পথেই হাঁটছে।’
রিজভী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রহমানসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করেছেন। ‘তফসিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। এই উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর রাষ্ট্রীয় ভবন গণভবনে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে একতরফা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে।’
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আচরণবিধি ভঙ্গ করা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নির্বাচন কমিশন জাল, জোচ্চুরি ও প্রহসনের ভোটের জন্য সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘জনগণের হরণ হওয়া ভোটের অধিকার ফেরত দেয়ার চেষ্টা’ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আশা করব, বিধি ভঙ্গের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করবেন। যদি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচনের চিন্তা করেন তাবে রেহাই পাবেন না। অন্যায় বা অবিচারের পন্থা অবলম্বন করলে দেশের সাধারণ মানুষ তা রুখে দিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে আপনাদের।’