সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট ২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপককালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার মন্তব্যে জাতি হতাশ। কারণ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করা বিষয়ে জনগণের প্রধান দাবি তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছেন। জনগণের রায় গ্রহণে তার ইচ্ছা আমরা দেখছি না। সেই সাথে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড ও সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির কোনো পরিকল্পনা তার নেই’, যোগ করেন ফখরুল।
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, সরকার একতরফা নির্বাচন করার জন্য আবারো দেশব্যাপী বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করেছে। ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) যদি বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে একতরফা অভিযান চালান তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারবে না।’
ফখরুল বলেন, মানুষের প্রত্যাশা ছিল যে প্রধানমন্ত্রী তার রবিবারের সংবাদ সম্মেলনে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি নিয়ে ইতিবাচক কিছু বলবেন। কিন্তু তিনি তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
‘জনগণের অধিকার ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য পুরো জাতিকে হতাশ করেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এখন জনগণের মূল দাবি, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন সংবিধান অনুযায়ী সবকিছু হবে,’ বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, সংবিধান মানুষের তৈরি এবং মানুষের স্বার্থে তা যেকোনো সময় সংশোধন করা যায়। সরকার নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বারবার সংবিধান সংশোধন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ করতে না চাওয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, তিনি ২০১২-১৩ সালে একই কাজ করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
বিএনপি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারের সব ‘অশুভ চক্রান্ত’ নস্যাৎ করে দিয়ে তাদের সব দাবি আদায় করবে বলে জানান তিনি।