বৃহস্পতিবার সকাল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বরুনাগাঁও এলাকায় নির্বাচনী পথসভায় এ দাবি জানান তিনি।
‘আমরা আগে থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে সেনা মোতায়নের দাবি করে আসছিলাম। আমরা এখনো দাবি করছি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে যেন সেনা মোতায়েন করা হয়, বলেন ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, আজকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এ সরকারের পরিবর্তন। এ সরকার পরিবর্তন না হলে এ দেশে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে না। একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়ে বসে যাবে।
সেজন্য ধানের শীশে ভোট দিয়ে এ সরকারের পরিবর্তন আনতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, গুম-খুন পুলিশি হয়রানি এখনো চলমান রয়েছে। যা এদেশের জনগণ কোনো দিন মেনে নেয়নি। আগামীতেও মানবে না। দেশের মানুষ এখন চায় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, আমরা চাই এদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের সুশাসন ফিরিয়ে আনবো।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ভোট শুরুর মধ্যেও আওয়ামী লীগের লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো কিছু করতে পারছে না।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষিত যুবকরা যতদিন চাকুরি না পাবে ততদিন পর্যন্ত শিক্ষিত যুবকসহ অন্যান্য যুবকদের ভাতা দেয়া হবে। মেয়েদের স্নাতক পর্যন্ত লেখাপড়ায় বেতন না নিয়ে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে।
‘আমরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা মন্ত্রণায়ল তৈরি করবো। এ জন্য আপনাদেরকে একটি করে ভোট ধানের শীষে প্রদান করে বিএনপিকে জয়যুক্ত করার আহবান জানান মির্জা ফখরুল।’
এর পর তিনি সদর উপজেলার কয়েকটি পথসভায় ভাষণ দেন।