বুধবার দুপুরে বগুড়া শহরের সূত্ররাপুরস্থ চম্পামহলের জ্যোতি হলে বিএনপির প্রধান নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া-৬ সদর আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড আমাকে ধানের শীষ প্রতিক বরাদ্দের চিঠি নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি ওই চিঠি দু’একদিনের মধ্যে গ্রহণ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিব।’
তিনি বলেন, কারাবন্দি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে। বগুড়ার জনগণ আবারো ধানের শীষের প্রার্থিকে জয়ী করবে। দলীয় কোনো কোন্দল নেই। কয়েকজন বিপথগামী নেতা-কর্মী মিথ্যাচার করছে। তাদেরকে আজকের মধ্যে (বুধবার) সংশোধন হয়ার সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা সংশোধন হয়ে বিএনপির বর্তমান কমিটির সাথে কাজ করবে বলে আশা করেন তিনি।
বগুড়া -৫ আসনের সাবেক এমপি সিরাজ বলেন, ‘বগুড়া সদর আসনে আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। কিন্তু ইভিএম এর কারচুপি চাই না। ইভিএম-এ ভোট প্রদান করা সহজ। কিন্তু ইভিএম এর সফটওয়্যার থাকবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে। ইভিএম নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। আমার ধারণা, সরকার বিতর্কিত ইভিএম ব্যবস্থা জায়েজ করতেই বগুড়ার নির্বাচনে এটি ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিনিয় যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা, মাহবুবর রহমান বকুল, এম আর ইসলাম স্বাধীন, কেএম খায়রুল বাশার, মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, ওমর ফারুক খান, সহিদ উন নবী ছালাম, শামীমা আক্তার পলিন, মনিরুজ্জামান মনি প্রমুখ।
আগামী ২৪ জুন বগুড়া সদর আসনে ১৪১টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হবে। বিএনপির সিরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের টিজামান নিকেতা, জাপার নূরুল ইসলাম ওমরসহ আটজন।
আগামী ৩ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপরই চূড়ান্ত প্রার্থী জানা যাবে। এই আসনের ভোটর সংখ্যা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮।