সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘বিদেশে পালিয়ে থাকা ছয়জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরদার হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আছেন রাশেদ চৌধুরী। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে ওখানে একটি মামলা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।’
‘তেমনি নূর চৌধুরীর ব্যাপারে কানাডার একটি আইন আছে; সেটা হলো কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান সেদেশের আইনে নেই। এই কারণে আইনটিকে শিথিল করে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কানাডায় একটি মামালাও বাংলাদেশ সরকার করেছে। কানাডা সরকারের সাথে এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে,’ যোগ করেন তিনি।
কানাডায় পালিয়ে থাকা নূর চৌধুরীকে ফেরাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনলাইন পিটিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ৭১, কানাডা আওয়ামী লীগ অল ওভারসিস বাংলাদেশি এবং মুভমেন্ট ফর ডিপারটেশন অব কিলার নূর চৌধুরী টু বাংলাদেশ যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কাদের আরো বলেন, ‘আমি বার বার একই প্রশ্ন করছি বিএনপির নেতৃত্বের কাছে; বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে কারা জড়িত, সেই খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে কেন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, কেন এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বাংলাদেশের লাখো শহীদের রক্তের আখরে রচিত সংবিধান পরিবর্তন করে পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে? হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে? এই প্রশ্নের জবাব বিএনপি আজও দেয়নি। আমি আবারও সেই প্রশ্নের জবাব চাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘কানাডার মতো সভ্য দেশ আত্মস্বীকৃত দণ্ডিত খুনির জন্য অভয়ারণ্য হতে পারে না। এই খুনি ও তার দোসররা একটি দেশের জাতির পিতাকে, তার সহধর্মিণীকে ও তার ১০ বছরের শিশু রাসেলসহ ১৮ জন মানুষকে হত্যা করেছে। এই খুনি গত ৪৩ বছর ধরে মুক্ত জীবন-যাপন করছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।