সোমবার দুপুরের এ হামলায় স্থানীয় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত এবং প্রার্থী ও সমর্থকদের বহনকারী দুটি মাইক্রোবাস ও ১০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উজিরপুর উপজেলার বরাকোটা ইউনিয়নের ডাবেরকুল নামক এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর প্রধান নির্বাচন সমন্বয় আব্দুল মাজেদ তালুকদার ওরফে মান্নান মাস্টারের।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহে আলম। তার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকার প্রচারণায় বাধা ও তাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
বিএনপি প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়ক মান্নান মাস্টার জানান, সোমবার বরাকাটা ইউনিয়নে দিনভর উঠান বৈঠক ছিল। পাশাপাশি বিকালে ওই এলাকায় একটি উঠান বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। উঠান বৈঠকের উদ্দেশ্যে যাবার পথে ডাবেরকুল নামক স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গাড়িবহরে হামলা করে।
এতে তিতুমির কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক রনি হাওলাদার, জল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, রিয়াজ খান, বরাকোটা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি কাইয়ুম খান, গুঠিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীন হাওলাদার, ছাত্রদল নেতা রনি সরদার, মুন্না হাওলাদার ও মনিরসহ ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মান্নান মাস্টারের অভিযোগ, বরিশাল-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহে আলম এর নেতৃত্বে বিএনপি প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। আর এটা পূর্ব পরিকল্পিত হামলা। এই ঘটনায় থানা এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন বরিশাল-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহে আলম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজন কারোর ওপর হামলা করেনি বরং বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরাই আমাদের লোকজনকে প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা ডাবেরকুল বাজারে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে। এতে বরাকোটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান ও স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী রাফিসহ ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন।’
বিএনপি নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর।
এ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, ‘আমার থানার আওতাধীন এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নেই। এমনকি বিএনপি বা আওয়ামী লীগের কেউ এ ধরনের কোনো অভিযোগও করেনি।’