বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার ঢাকার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। মহামারির মধ্যে ধনাত্মক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হাতেগোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গতকাল বাসে আগুন দেয়া হয়েছে।’
‘এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই টিআইবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটা প্রতিবেদন দিয়েছে, বিভিন্ন মহল থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। এবং বাস পোড়ানোতে যে বিএনপি ও তাদের দোসররা জড়িত তা সহজেই অনুমেয়,’ বলেন তিনি।
নির্বাচনে কারচুপি আড়াল করতেই বাসে আগুন দেয়া হয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে কারা এভাবে বাস পুড়িয়েছে, কীভাবে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, দেশবাসী তা ভালোভাবেই জানে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও দেখা গেছে, ২০১৩-১৪ সালে যেভাবে যাত্রীবেশে বাসে উঠে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল, গতকাল যে নয়-দশটি বাস পোড়ানো হয়েছে, তার মিল আছে এবং প্রথম বাসটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাস, পোড়ানো হয়েছে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে। সুতরাং এ ঘটনার সাথে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের সংশ্লিষ্টতা অনায়াসে অনুমেয়।’
‘মির্জা ফখরুল সাহেব শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করছেন, যাতে কোনো লাভ হবে না,’ উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতে ২০১৩-১৪ সালে যেমন এ ধরনের নাশকতা সরকার কঠোর হস্তে দমন করেছে, এবারও জনগণকে সাথে নিয়ে এ ধরনের নাশকতা কঠোর হস্তে দমনে সরকার বদ্ধপরিকর।
এ ধরনের অপতৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে ও সন্দেহজনক কিছু দেখলে সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আনার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী কোনো গুজব বা ঘটনার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে সকল গণমাধ্যমের সাহায্যে দেশবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।