তিনি বলেন, বিএনপি দিনে দিনে মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। যার কারণে গত নির্বাচনে মাত্র ছয়টি আসন পেয়েছে। আর ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের। আজকে ৭০ বছর, আওয়ামী লীগের কত উত্থান পতন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৩ বছর কারাগারে বন্দী ছিলেন। কিন্তু তিনি আপস করেননি। আমরা বার বার আন্দোলন সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করেছি।
শনিবার দুপুরে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ ধ্বংস করেছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন। খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় ছিলেন। তিনিও স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে ছিলেন।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন বিধ্বস্ত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার কাজ করছিলেন তখনই তাকে হত্যা করা হয়। তার দুই কন্যা বিদেশ থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। আমরা তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছি। তিনি নিষ্ঠা ও সততার সাথে দল পরিচালনা করে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতনসহ এমন কোনো দুঃশাসন নেই যা করেননি। যার কারণে আজকে বিএনপির এ পতন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার থেকে ভোলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে পাঁচ দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা শুরু হয়।