‘আমাদের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে না পারে সে জন্য আইন দুটি করা হয়েছে। আইনের মাধ্যমে তাদের (সাংবাদিক) হাত-পা বেঁধে দেয়া হয়েছে, তাদের মুখ বেঁধে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেয়া দণ্ড বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, সর্বস্তরের মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে এখন পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অশালীন মন্তব্য প্রমাণ করে যে ঐক্য গঠনে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে।
বিএনপি জাতীয় ঐক্যকে আরও জোরদার এবং এর মাধ্যমে তাদের নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) কারামুক্ত ও সরকারকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে বাধ্য করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারকে ২০১৪ সালের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে সতর্ক করে দেন মওদুদ।
আজ শনিবার জাতীয় পার্টি সমাবেশ করতে পারলেও আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণকে ভয় পায় এবং তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না।
সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ দাবি করেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ‘বেআইনিভাবে’ সাজা দেয়া হয়েছে। জনগণ এই ‘ফরমায়েশি’ রায় মানেনি।
তারেক রহমান দেশে ফিরে রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্ট আপিল করবেন জানিয়ে মওদুদ বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে তা তিনি মিথ্যা প্রমাণ করবেন। আমি বিশ্বাস করি আপিলের মাধ্যমে তিনি হাই কোর্ট থেকে খালাস পাবেন।’